আমতলী প্রতিবেদক ॥ মাত্র একটি সুইজ বিকলের কারনে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের এক্সরে মেশিনটি এক বছর ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে। ফলে হাসপাতালে আগত রোগীদের প্রয়োজনে এক্সরে করতে বাইরের বিভিন্ন রোগনির্ণয় কেন্দ্রে যেতে হচ্ছে। এতে রোগীদের যেমন বাড়তি খরচ হচ্ছে, তেমনি আসা-যাওয়ায় গুরুতর অসুস্থ রোগীদের ভোগান্তিও পোহাতে হচ্ছে। সেবা বঞ্চিত হচ্ছে আমতলী ও তালতলী উপজেলার প্রায় ৩ লক্ষাধিক মানুষ। আমতলী হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৩শ’ এমএ ( মিলিএমপিআার ) শক্তির একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এক্সরে মেশিন রয়েছে আমতলী হাসপাতালে। কিন্তু মেশিনটি ২০১৭ সালের ২৮ জুন এক্সরে মেশিনের কন্টোল বক্সের ডিসপ্লে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে এক্সরে মেশিনটি। এক্সরে মেশিনটি অকেজো হয়ে যাওয়ার পর এক বছর অনেক চিঠি চালাচালি করেও আর সারানো যায়নি। এক্সরে মেশিনটি বন্ধ থাকায় আমতলী ও তালতলী উপজেলার প্রায় ৩ লক্ষাধিক মানুষ স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। রবি ও সোমবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, জরুরি বিভাগে বেশ কয়েকজন রোগীকে কর্তব্যরত চিকিৎসক উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হারুন অর রশিদ ও গৌরাঙ্গ হাজরা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত কয়েক জন রোগীরকে এক্সরে করার পরামর্শ দেন। তারা বাইরের একটি রোগনির্ণয় কেন্দ্র থেকে এক্সরে করিয়ে এনেছেন। মারপিটের ঘটনায় আহত আরেক রোগীকে স্বজনেরা ধরাধরি করে হাসপাতালের বাইরে নিয়ে যাচ্ছেন। তারা আক্ষেপ করে বলেন, ‘হাসপাতালের যন্ত্র থাকতে শরীরের যন্ত্রণা লইয়া মোরা বাইরে যাওন লাগতাছে। এত খরচও হইবে দ্বিগুণ।’ মোগো অইছে মরন দশা। আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্সরে বিভাগের টেকনিশিয়ান মোস্তফিজুর রহমান জানান, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে স্থাপিত হাসপাতালের অত্যাধুনিক এক্সরে যন্ত্রে এক্সরে করতে রোগীদের খরচ পড়ে ৮০ টাকা। এখানে দরিদ্র রোগীদের এক্সরে বিনা মূল্যে করা হয়। এটি ২০১৭ সালের জুন মাস থেকে অকেজো হয়ে পড়ে পড়ে আছে। ফলে হাসপাতালে আসা রোগীদের বাইরের রোগনির্ণয় কেন্দ্র থেকে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করে এক্সরে করাতে হচ্ছে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শংকর প্রসাদ অধিকারী জানান, বিষয়টি ঢাকার মহাখালীর ন্যাশনাল ইলেকট্রো মেডিকেল ওয়ার্কশপের টেকনিক্যাল ম্যানেজারকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। ঢাকার মহাখালীর ন্যাশনাল ইলেকট্রো মেডিকেল ওয়ার্কশপের টেকনিক্যাল ম্যানেজার মো: বেলাল আহম্মেদ জানান, আমি নতুন যোগদান করেছি। বিষয়টি আমি জানি না। তবে নতুন করে চিঠি পাঠাতে বলেন, চিঠি পাওয়ার পর আমি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করব।
Leave a Reply